Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কম্বাইন হারভেস্টারের নিরাপদ সংরক্ষণ ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার

কম্বাইন হারভেস্টারের নিরাপদ সংরক্ষণ ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার
ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক

সুচিন্তিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক ও রিস্ক ফ্রি করা যায়। বর্তমান করোনাভাইরাস জনিত আপদকালীন সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে সদাশয় সরকারের ২০০ কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা প্রধান খাদ্যশস্য বোরো ধান সংগ্রহকে করেছে নিশ্চিত, লাভজনক ও নিরাপদ। কৃষকদের বিনিয়োগ ও সরকারের সহায়তা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে প্রয়োজন হারভেস্টার যন্ত্রগুলোর সঠিক যতœ ও রক্ষণাবেক্ষণ। ২০১৫ সালে দেশে শস্য কাটার ক্ষেত্রে মাত্র ১% যান্ত্রিকীকরণ লক্ষ্য করা গেলেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ২০২১ সাল নাগাদ দেশের ফসল কর্তনে যান্ত্রিকীকরণ ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনাসহ আগামী পাঁচ বছরে আরো ১৫৫০০টি কম্বাইন হারভেস্টার প্রদানসহ     নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করছে। আমরা জানি, প্রচলিত পদ্ধতিতে হাতে কাটা-মাড়াই করতে এক একর জমির জন্য ১৮-২৫ জন শ্রমিকের প্রয়াজন হয়। এ ছাড়া বোরো মৌসুমে ধান ছাড়াও যেমন গম, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলও সংগ্রহ করতে হয়। ফলে বোরো সংগ্রহের সময়টিতে বিশেষ করে ধান সংগ্রহে চোখে পড়ার মতো কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি  পরিলক্ষিত হয়। এই শ্রমিক সমস্যা সমাধানে কম্বাইন হারভেস্টার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ছোট ও কম দামি কম্বাইন নিয়ে এ দেশে কম্বাইনের মাঠ পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয়। সে পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের এক হাজারের উপরে কম্বাইন মাঠে রয়েছে। হারভেস্টারগুলোর ২৫-৩০ ভাগ     জীবনকাল কমেছে নতুন হারভেস্টারের প্রথম লোড দেয়ার নীতিমালা না মানা ও প্রথম সার্ভিসিং (৫০ ঘণ্টা পর) না করার কারণে; ৩৫-৪০ ভাগ জীবনকাল হারিয়েছে সংরক্ষণকালীন নিয়ম না মানার ফলে আর ৩০-৪০ ভাগ হারভেস্টার কর্মক্ষমতা হারিয়েছে স্পেয়ার পার্টসের অভাবে। অর্থাৎ মানসম্পন্ন যন্ত্র, প্রশিক্ষিত চালক ও স্পোয়ার পার্টসসহ ক্রমাগত কারিগরি     সহায়তা না হলে হারভেস্টার তার অর্থনৈতিক লাইফ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। আমাদের দেশে প্রধানত দুই ধরনের কম্বাইন হারভেস্টার রয়েছেঃ ১) হোল ফিডটাইপ যেখানে খড় সহ আস্ত ধান গাছটিই যন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে বিধায় খড় কেটে যায়  ২) হেড ফিডটাইপ যেখানে শুধু ধানের শীষ যন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে বিধায় খড় আস্ত থাকে। হোল ফিড সিসটেম চালানো সহজ ও সমস্যাও কম হয় কিন্তু আমাদের দেশে ধানের খড়ের নানাবিধ ব্যবহার ও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বিধায় হেড ফিড সিসটেম বেশি   জনপ্রিয়। সরকারের উন্নয়ন সহায়তায় বিশ^মানের ইয়ানমার, কুবোতা, ডেডং, ওয়ার্ল্ড, লাকি স্টার, সাইফেং এর মত ব্রান্ডকে নির্বাচন করা হয়েছে ।
কম্বাইন হারভেস্টার একটি উচ্চ প্রযুক্তির নলেজ বেইজড মেশিন যেখানে যন্ত্রের পাশাপাশি যন্ত্রচালককেও দক্ষ ও জ্ঞান সম্পন্ন হতে হয়। কারন ধানের জাত, ঘনত্ব, ধান খাড়া কিংবা হেলানো এসব অবস্থায় যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের সেটিংস পরিবর্তন করতে হয়। শুকনো ধান ক্ষেতে যে গতিতে যন্ত্র চালনা করা যায় বৃষ্টি পরবর্তী ভেজা ক্ষেতে যন্ত্র চালনার গতি কমাতে হয় ও বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় যাতে থ্রেসিং চেম্বারে জ্যাম না লাগে। যন্ত্র সরবরাহকালীন সময়ে সাধারণত বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সব ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার অয়েল ও হাইড্রোলিক অয়েল সরবরাহ করে থাকে। যন্ত্রগুলো চালনার প্রথম ৫০ ঘণ্টার যতœ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নো লোড ও হাফ লোডে প্রত্যেক গিয়ারে       ৪ ঘণ্টা করে চালিয়ে তারপর ফুল লোডে চালাতে হবে এবং প্রথম ৫০ ঘণ্টা চালনা পূর্ণ হলে সকল অয়েল ফেলে দিতে হয়। এসময় খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, অয়েলগুলোর সাথে লোহার কুচি ও নানা অপদ্রব্য বের হয়ে আসছে। এরপর নিয়মিত (১৫০-২০০ ঘণ্টা) বিরতিতে কম্বাইন হারভেস্টারে লুব্রিকেন্ট চেক করা ও ঘাটতি পূরণ করা খুবই জরুরি কেননা এটা যন্ত্রের রক্তের মতো কাজ করে। ধানের ক্ষেতে পার্চিং এর খুটি বা অন্য কোন খুটি/ধাতব দÐ আছে কি-না। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়ে মাঠে নামতে হবে। সাধারণত যন্ত্রের সাথে সরবরাহকৃত ম্যানুয়ালে এসব লেখা থাকে। যন্ত্র পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলায় ব্যবহারবিধি বা ম্যানুয়াল সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নত হারভেস্টারগুলোর ড্যাস বোর্ডে কতগুলো মিটার আছে এবং কতগুলো সিগনাল লাইট জ¦লে। এসব মিটার ও সিগনাল লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা চালকের অবশ্যই ধাকতে হবে। কতগুলো হারভেস্টারে নিরাপত্তার জন্য চালককে সহায়তা করতে সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু সেন্সরগুলো কখন কী   সিগনাল দিচ্ছে তা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী ও তাদের প্রশিক্ষণ      সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। সাম্প্রতিক গুরুত্ব বিবেচনায় গণমাধ্যম বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোতে এ যন্ত্র চালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্ভাব্য সমস্যার তথ্যভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র এবং অভিজ্ঞ কৃষি প্রকৌশলীর মাধ্যমে অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সংরক্ষণকালে ব্যবস্থাপনা
কম্বাইন হারভেস্টারের ব্যবহারের পর যখন প্রায় ৪-৫ মাস যন্ত্রগুলোর কোন কাজ থাকবে না তখন প্রত্যেক যন্ত্রের জন্য স্বল্পখরচের হলেও সংরক্ষণাগার তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। সংরক্ষণাগারে রাখার পূর্বে কয়েকটি কাজ করতে হবে যথাঃ ১) হারভেস্টারের বাইরের অংশ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোন কাঁদা ও মবিল গায়ে লেগে না থাকে; ২) কুলার সিটেমের রাবার ট্র্যাকের কাদা পরিষ্কার করতে কোন ধরনের ধারালো বা মেটালিক বস্তু ব্যবহার করা যাবে না; ৩) থ্রেসিং সিলিন্ডার, ভাইব্রেশন চালুনি, অগার ও সাইড কভার খুলে ভেতরকার সকল শস্য (ধান) ও খড় বের করে পরিষ্কার করতে হবে; ৪) সংরক্ষণের সময় অগারের মুখ, গ্রেইন ট্যাংকের মুখ ও অন্যান্য ছিদ্র পুরাতন সুতি কাপড় দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে; ৫) হাইড্রোলিক অয়েল, গিয়ার অয়েল, ইঞ্জিন অয়েল ও অন্যান্য লুব অয়েল চেক করতে হবে, মান হারালে পরিবর্তন বা প্রয়োজনে পরিপূর্ণ করতে হবে; ৬) রেডিয়েটর চেক করতে হবে ও কোলেন্ট অর্থাৎ ভালো মানের পরিষ্কার পানি দ্বারা পূর্ণ করতে হবে; ৭) ইলেক্ট্রিক লাইন চেক করতে হবে ও প্রয়োজনে মেরামত করতে হবে যাতে কোনোভাবেই বডি আর্থিং বা লিক না থাকে; ৮) সকল চেইন, বিয়ারিং, কাটারবার ও অন্যান্য চলমান অংশে লুব্রিকেন্ট দিতে হবে; ৯) সম্ভব হলে পুরো হারভেস্টারে মরিচা প্রতিরোধী জেল মাখিয়ে রাখতে হবে; ১০) সকল গ্রিজিং পয়েন্টে ভালো মানের গ্রিজ ব্যবহার করে রাখতে হবে, নিম্নমানের গ্রীজ ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি করবে; ১১) সকল বেল্ট টেনশন চেক করতে হবে; ১২) হারভেস্টারের সকল নাট-বোল্ট টাইট দিতে হবে; ১৩) এয়ার ক্লিনার ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও হাইড্রলিক ফিল্টার চেক করে পরিষ্কার বা মানসম্মত নতুন ফিল্টার দিয়ে বদল করতে হবে; ১৪) কাটারবার অংশটি ও রিল সিস্টেমের রিলটি ইটের ফ্লোরের ত্রিপল বিছিয়ে এর উপর নামিয়ে রাখতে হবে। অত:পর হারভেস্টারকে একটি সংরক্ষিত উঁচু ও ইট বিছানো কক্ষে সংরক্ষণ করতে হবে। হারভেস্টারটি একটি বড় ত্রিপাল বা প্লাস্টিক কভার দ্বারা ঢেকে রাখতে হবে।
সংরক্ষণকালে কয়েকটি কাজ নিয়মিত করতে হবে যথাঃ ১) প্রতি ৭-১০ দিনে হারভেস্টার বের করে স্টার্ট দিয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট চালাতে হবে। অন্যথায় এর ব্যাটারি, ইলেক্ট্রিক সিস্টেম ও ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে; অল্প সময় চালালে প্রতিবার চালনার পরে ব্যাটারির কালো টার্মিনালটি খুলে রাখতে হবে ও স্টার্টের আগে লাগিয়ে নিতে হবে; ২) ইঁদুর যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য ইঁদুর মারার বিষটোপ বা গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে, মনে রাখতে হবে বর্তমান হারভেস্টারগুলোর ইলেক্ট্রিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হলে ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মেরামত করাও কষ্টকর; ৩) কোনভাবেই সংরক্ষণাগারে হারভেস্টারে যাতে পানি প্রবেশ না করে কেননা পানি মেটালে মরিচা ধরায়,  বিয়ারিং নষ্ট করে, কাটারবারের কার্যক্ষমতা কমায়।
কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের পূর্বে করণীয়
প্রত্যেক চালক মাঠে নামার আগে নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হারভেস্টারগুলো মাঠে নামানোর পূর্বে আবারো কিছু বিষয় নিশ্চিত হতে হবে; যথাঃ ১) হারভেস্টার ভালো ভাবে পরিষ্কার করে সকল চলমান অংশে লুব্রিকেটিং অয়েল ও গ্রিজ সরবরাহ করতে হবে; ২) ফুয়েল ট্যাংক, রেডিয়েটর ট্যাংক, লুব অয়েল সাম ও হাইড্রলিক ট্যাংক পরীক্ষা করে দেখে ট্যাংক পরিমাণমতো পূর্ণ করতে হবে এবং এদের সংশ্লিষ্ট লাইন চেকআপ করতে হবে; ৩) সকল ফিল্টার পরিষ্কার বা পরিবর্তন করতে হবে; ৪) সকল চেইন ও বেল্টের টান পরীক্ষা করতে হবে; ৫) ব্যাটারি টার্মিনাল সংযোগ দিয়ে প্রত্যেক ইলেকট্রিক লাইনের সংযোগ ও ব্যাটারিসহ অন্যান্য সকল সিগনালের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে হবে; ৬) অগার, গ্রেইন ট্যাংকের মুখ ও অন্যান্য ছিদ্র যে কাপড় দিয়ে বন্ধ ছিল তা খুলে দিতে হবে; ৭) ফুয়েল পাম্প, হাইড্রোলিক পাম্প ও অয়েল পাম্পের কার্যকারিতা ঠিক করে নিতে হবে; কাটার বারের বেøডগুলোর মধ্যেকার নির্ধারিত ফাঁক চেক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় লুব্রিকেন্ট দিতে হবে; ৮) কোন রকম লোড ছাড়া আইডল অবস্থায় স্টার্ট দিয়ে ইঞ্জিন ও হারভেস্টারের বিভিন্ন অংশ কাজ করছে কি না তা পরখ করে নিতে হবে; ৯) সম্ভব হলে কোম্পানির প্রশিক্ষিত মেকানিক দিয়ে দুর্বল ও নষ্ট পার্টসগুলো মেরামত করে নিতে হবে; ১০) ফিল্টারসমূহ, বেল্ট ও অন্যান্য জরুরি কিছু স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহ করে রাখতে হবে; ১১) নিজে না চালালে প্রশিক্ষিত, সৎ ও সিনসিয়ার চালক নিয়োগ দিতে হবে; ১২) একাধিক মেকানিকের নাম্বার চালকের সাথে রাখা যাতে যে কোন প্রয়োজনে মেকানিকের পরামর্শ নেয়া যায় বা ডাকা যায়; ১৩) বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন এলাকায়  যোগাযোগ করে কমিশন এজেন্টের মাধ্যমে জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যাতে এক এলাকার জমিতে পরিকল্পিতভাবে সমজাতের ধান চাষ করে, অন্যথায় অনেক সময় জমিতে হারভেস্টার ডুকানোর জায়গা পাওয়া যায় না।  
আমাদের দেশে সরকারের এই উন্নয়ন সহায়তা ও তার ইতিবাচক প্রভাব কম্বাইন হারভেস্টারভিত্তিক যান্ত্রিকীকরণের পথে সঠিক অগ্রযাত্রার ইঙ্গিত বহন করছে। চালক, মালিক, মেকানিক ও সরবরাহকারীদের যথাযথ দায়িত্ব পালন ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা দূর করা গেলে দীর্ঘমেয়াদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুফল ঘরে তোলা যাবে। অন্যান্য সেক্টরের মতো কৃষি সেক্টরও উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। য়

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এফএমপি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর, মোবাইল : ০১৭১২৬৩৫৫০৩, ই-মেইল : ংযধফঁষভসঢ়ব@মসধরষ,পড়স


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon